বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:২২ পূর্বাহ্ন
আওয়ামি লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বুদ্ধিজীবী হত্যার সঙ্গে জামায়াতে ইসলামী জড়িত ছিল। সেই জামায়াতের সাথে জোট বেঁধেছে বিএনপি। যারা যুদ্ধাপরাধী জনগণ ইতোমধ্যেই তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। তিনি বলেন, বুদ্ধিজীবী হত্যার নীলনকশার দিনই (১০ ডিসেম্বর) বিএনপি সমাবেশের জন্য বেছে নিয়েছে।
বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ১০ ডিসেম্বর কয়েকজন বুদ্ধিজীবীকে তুলে নেওয়া হয়েছিল, গুম করা হয়েছিল। এদিন থেকেই বুদ্ধিজীবী হত্যার নীলনকশা বাস্তবায়ন শুরু হয়। সেই ১০ ডিসেম্বরকেই এবার সমাবেশের জন্য বেছে নিয়েছিল বিএনপি। যারা যুদ্ধাপরাধী তাদের ইতোমধ্যেই জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে।
এর আগে সকাল ৭টায় প্রথমে রাষ্ট্রপতি, পরে প্রধানমন্ত্রী পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এরপর সেখানে তারা কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময়ে বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে। পরে স্বর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন শুরু করে। শ্রদ্ধা নিবেদনের পর তারা কিছুক্ষণ নিরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
এরপর সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা রাষ্ট্রীয় সালাম দেয়। পরে ৭টায় দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী হিসেবে দ্বিতীয় বার শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শেখ হাসিনা। এরপর প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ বুদ্ধিজীবীদের সন্তানদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। পরে সোয়া ৭টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ এলাকা ছেড়ে গেলে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এসময় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের ঢল নামে।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর দেশের স্বাধীনতার চূড়ান্ত বিজয়ের মাত্র দুই দিন আগে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী দেশের বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে।